আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস – নারীদের শিক্ষার গুরুত্ব
“To invest in people, prioritise education” এই বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের থিম চুজ করা হয়েছে। শিক্ষা একটি মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে, একে নিজের উপর একটি বিনিয়োগ বলতে পারেন। আর শিক্ষাকে সবার আগে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ।
দেশে বাড়ছে জনসংখ্যা। কিন্তু শিক্ষার হার কত বেড়েছে? ২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৪.৬৬%, যা পল্লী এলাকায় ৭১.৫৬% এবং শহর এলাকায় ৮১.২৮%। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬%, মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২% এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫%। এখনো আমাদের দেশে প্রায় ২৫.৩৪% মানুষ শিক্ষার আলো থেকে দূরে রয়েছে। যদিও সাক্ষরতার হার ৫১.৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬৬ শতাংশে। দেশে এখনো ৪ কোটি ১২ লাখ মানুষ নিরক্ষর এবং আরও সাক্ষরতা সাক্ষরতা অর্জনে আরও ২৭ বছর লাগবে। কারন আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ অনেকাংশই কম।
মেয়েদের জন্য শিক্ষা কতটা জরুরি?
আমাদের দেশে বিশেষ করে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করা বেশি জরুরি। তার প্রধান কারন-
· ভায়োলেন্স দূর করতে হবে
· নিজেকে নিজের জন্য রুক্ষে দাঁড়াতে হবে
· নিজের অধিকার বুঝে নিতে হবে
· এছাড়া নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা শিক্ষা দিতে পারবে। বয়ঃসন্ধিকালকালীন শারীরিক পরিবর্তনগুলোর সাথে নিজেকে কীভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হবে, পিরিয়ড সম্পর্কে পরিবার থেকে হয়তো সঠিক তথ্য নাও পেতে পারে, কিন্তু স্কুল থেকে এই সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়।
সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অপরদিকে করোনাভাইরাসের সময় কিছু শিক্ষার্থী পিছিয়ে পরেছে, বিশেষ করে মেয়েরা। পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার পর অনেক মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়। যাদের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়, তাদেরকে পুনরায় স্কুলে আনার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই বছর বাংলাদেশের থিম হচ্ছে- ‘ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা’, কারন করোনাভাইরাসের সময় শহরাঞ্চলের প্রায় সব শিক্ষার্থী অনলাইনের সুবিধা নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত মফস্বলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে আছে। যেহেতু শিক্ষার মতো বিষয় ফেলে রাখার মতো নয়, তাই সব ধরনের শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপসহ ডিজিটাল ডিভাইস থাকতে হবে। তা না হলে বৈষম্য বেড়ে যাবে।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আমাদের জীবনে শিক্ষার গুরুত্বটা বুঝতে পারছেন। একটি দেশের ভবিষ্যত এবং তার নাগরিকদের মঙ্গল সরাসরি তার শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষার মানের সাথে সম্পর্কিত। শিক্ষা আমাদের জীবনে অর্থ যোগ করে এবং স্থিতিশীলতা প্রদানের পাশাপাশি আমাদেরকে জীবনের অন্তর্গত এবং উদ্দেশ্যের অনুভূতি দেয়।