“আন্ডার গার্মেন্টস” আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। কিনার সময় “কমফোর্ট” এর কথা চিন্তা করা হয় আগে, তারপর অন্যকিছুর কথা চিন্তা করি। যেহেতু নিত্য দিনের সঙ্গী, তাই এর যত্নের কথাটাও কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে, এর যত্ন নেয়া মানে কিন্তু নিজেরও যত্ন নেয়া। কারন মেয়েদের শরীরের সব থেকে সেনসিটিভ পার্ট হচ্ছে ভ্যাজাইনা। আর এর পরিবেশকে ঠিক রাখতে প্যান্টি ব্যবহারে হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে।
আজকের আর্টিকেলে জানতে পারবেন, প্যান্টির হাইজিন কীভাবে মেইনটেইন করতে হয়, মেইনটেইন না করলে কি কি সমস্যা ভ্যাজাইনাতে দেখা দিতে পারে, সাথে এটাও জেনে নিন কিনার সময় কোন বিষয়গুলো মাথায় রেখে কিনা উচিৎ।
কি কি সমস্যা ভ্যাজাইনাতে দেখা দিতে পারে?
অনেক সময় ভ্যাজাইনা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এর কারন কিন্তু হাইজিন ঠিকমত মেইনটেইন না করার কারণে হচ্ছে। দুর্গন্ধের সাথে আরও অনেকগুলো সমস্যা দেখা দেয়-
- ঠিকমত হাইজিন মেইনটেইন না করলে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া গ্রো করে।
- ফুসকুড়ি হয়।
- চুলকানি হয়।
- ইনফেকশন হয়।
- দুর্গন্ধ হয়।
পরিত্রাণের উপায় কি?
ভ্যাজাইনার সমস্যা হলে তা আমরা অনেকেই বলতে সংকোচ বোধ করি। প্যান্টি ব্যবহারে হাইজিন মেনটেইন করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
১। সারাদিনের জন্য বাহিরে থাকলে, কটন কাপড়ের প্যান্টি পরুন। ফেব্রিক ভালো না হলে অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে থাকে। লেইসের প্যান্টি আপনার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সারাদিনের জন্য লেইসের প্যান্টি আপনার ভ্যাজাইনার পরিবেশকে নষ্ট করে দিবে। ভ্যাজাইনা থেকে ডিসচার্জ শুষে যাবার কোন পথ না থাকায়, পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাবে, দেখা দিবে বিভিন্ন সমস্যা। আর সিনথেটিক কাপড়ে এলার্জির সমস্যা আছে নাকি বুঝে নিন। তাই কটন কাপড় বাছাই করুন যদি সারাদিন বাহিরে থাকা লাগে। তাই সময় বুঝে প্যান্টি নির্ধারণ করুন। কটন ফেব্রিক তাপ ও আদ্রতা আটকে রাখে, ফলে ভি-এরিয়াতে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি হয় যা ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট গ্রো করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। তাই ভালো ব্রান্ডের প্যান্টি বাছাই করুন।
২। প্যান্টি ধোয়ার সময় সেভলন পানিতে মিশিয়ে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। জীবাণুনাশক না থাকলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন।
৩। প্যান্টি সব সময় রোদে শুকিয়ে নিবেন। ভেজা অবস্থায় কখনো পরবেন না।
৪। প্যান্টির সাইজও মাপমত হওয়া উচিৎ। কেননা টাইট হলে প্যান্টি লাইন বোঝা যায়। সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে হেলথ ইস্যু। প্যান্টি টাইট হলে গরমে ঘাম বেশি হয়, ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে। আবার র্যাশও হতে পারে। আর নিজেও অস্বস্তিবোধও করবেন।
৫। প্যান্টি ব্যবহারের পর ধুয়ে আবার পরিধান করুন; না ধুয়ে রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিবে।
৬। কিছুদিন পর পর ইনার ওয়ার পরিবর্তন করুন, কারন ঘামের জন্য কাপড় দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
৭। প্রয়োজন পড়লে দিনে যেই কয়বার দরকার, ওই কয়বার প্যান্টি পরিবর্তন করুন। এই যেমন ধরুন- ব্যায়াম করে ঘেমে গিয়েছেন, এক ঘণ্টা হয়েছে মাত্র প্যান্টি পড়েছেন, ভেবে যদি পরিধান করে থাকেন তাহলে কিন্তু ভুল করছেন। ঘেমে গিয়ে থাকলে পরিবর্তন করে নিন।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি হেল্পফুল ছিল। ছোট একটা কাপড়ের হাইজেন মেইনটেইন না করলে যে হেলথ রিলেটেড সমস্যার সম্মুখীন হবেন বুঝতেই পারছেন। আর হেলথ রিলেটেড আরও তথ্য জানতে Lilacforyou.com-এ ইনবক্স করতে পারেন।