দা ডায়াবেটিস ডিলেমা- ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো জেনে নিন। 

সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন কারণেই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে বয়স ২০ থেকে ৭৯ বয়সের মধ্যে একটি জরিপ করা হয়, যেখানে দেখা গিয়েছে ১৪.২% রোগী ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। 

ডায়াবেটিস কেন হয়? 

আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে মানে গ্লুকোজে রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন বের হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় গ্লুকোজকে গ্রহণ করার জন্যে এবং এই গ্লুকোজ শরীরের শক্তি হিসেবে কাজ করে। 

শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে।

ডায়াবেটিসের টাইপ কয়টি? 

২ টাইপের ডায়াবেটিসের হয়ে থাকে।

১। টাইপ ওয়ানঃ টাইপ-ওয়ান হচ্ছে যাদের শরীরে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তাদের ইনসুলিন বা পুরোপুরি ওষুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেজন্য সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

২। টাইপ টুঃ আমাদের দেশে ৯৫ শতাংশ রোগী টাইপ-২ ধরনের। তবে টাইপ-২ ধরনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করে রাখলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা সম্ভব।

কাদের ঝুঁকি বেশি

  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। 
  • এছাড়া যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
  • এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
  • এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে অনেকের বাচ্চা হওয়ার পর কমে যায়, অনেকের আবার থেকে যায়।
  • যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

যে সব লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন, জেনে নিন। 

  • ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া 
  •  পিপাসা লাগা
  • দুর্বল লাগা
  • ঘোর ঘোর ভাব আসা
  • ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
  • সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া
  • কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া
  • শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা
  • চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব
  • বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা
  • চোখে কম দেখতে শুরু করা

ডায়াবেটিসের জন্য একজন রোগীর কি কি সমস্যা দেখা দেয়? 

ডায়াবেটিস জটিলতার কারণে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে কারন আমাদের শরীরের  ভাঙ্গার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় বা কাজ ক্রার ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে-

  • হার্ট অ্যাটাক
  • স্ট্রোক
  • চোখে কম দেখা, এক সময় অন্ধও হয়ে যেতে পারে
  • কিডনিজনিত রোগ দেখা দিতে পারে
  • ডিপ্রেশনও দেখা দিতে পারে
  • স্কিনে পিগ্মেন্টেশন, একনি, ব্যকটেরিয়া বা ফাংগাল ইনফেকশনও দেখা দেয়
  • নার্ভ ড্যামেজও হয়ে থাকে

কিভাবে কন্ট্রোল করবেন?

স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে আসে। মানে হেলথি ডায়েট মেইনটেইন এর সাথে সাথে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন ৪০মিনিট। 

আশা করি, ডায়াবেটিস নিয়ে একটি বেসিক ধারনা পেয়ে গিয়েছেন। চাইলে ঘরে বসেই lilacforyou.com থেকে নিজেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল রাখতে পারবেন।

Source-World Bank Collection of Development, Mayoclinic

Shopping Cart

Home