প্রেগন্যান্সিতে নানান রকম সমস্যা দেখা দেয়। তারমধ্যে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্ত চাপ বা হাইপারটেনশন কমন একটি রোগ।একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গর্ভাবস্থায় ৬-৮% মহিলার ব্লাড প্রেশার (Blood Pressure) বেড়ে যায়। শুধুমাত্র আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ থাকলেই নয়, স্বাভাবিক রক্তচাপ রয়েছে, এমন মহিলাদেরও গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। প্রেগন্যান্সির অবস্থায় যদি রক্তচাপ বেড়ে যায়, তাহলে মা ও ভ্রূণের নানা ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সময় মায়েদের প্রতি বেশি বেশি খেয়াল রাখা উচিৎ। আজকের আর্টিকেলে প্রেগন্যান্সিতে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্ত চাপ বা হাইপারটেনশন কিভাবে কন্ট্রোল করবেন তা জানতে পারবেন।
প্রেগন্যান্সিতে রক্তচাপের সমস্যা দুই ধরনের হয় – দীর্ঘস্থায়ী রক্তচাপ এবং গর্ভকালীন রক্তচাপ। এই উভয় ধরনের রক্তচাপ গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করে, তবে গর্ভাবস্থার আগে বা গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ আগে দীর্ঘস্থায়ী রক্তচাপের ক্ষেত্রে, রক্তচাপ ১৪০/৯০ mm Hg হয় যখন গর্ভকালীন রক্তচাপ ২০ সপ্তাহের পরে উচ্চ রক্তচাপ হয়। অনেকের প্রসবের পর তা নিয়ন্ত্রণে হয়ে যায়, আবার অনেকের থেকে যায়।
লক্ষণগুলো কি কি?
এই সময় একজন মায়ের যেই লক্ষণগুলো দেখা দেয়-
Ø শরীর ফুলে যাওয়া,
Ø ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়া,
Ø ঘাড় ব্যথা,
Ø ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যায় পড়তে হয়, গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির পরিস্থিতি থাকলেও রক্তচাপের কারণে হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যায়।
কেন প্রেগন্যান্সিতে হাইপারটেনশন ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়?-
হাইপারটেনশন হলে এক্ল্যামশিয়া হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।এক্ল্যামশিয়ায় ক্রিয়েটিনিন বেড়ে মায়ের কিডনির ক্ষতি পারে, প্লেটলেট কমে যেতে পারে, লিভার-সহ মায়ের বিভিন্ন অঙ্গেও প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী মায়ের বারে বারে জ্ঞান হারানোর সম্ভাবনাও থাকে। সারা বিশ্বে প্রেগন্যান্সিতে মা ও শিশুর মৃত্যুর একটি বড় কারণ হল এক্ল্যামশিয়া হাইপারটেনশন। তাই এই সময়টা মায়ের জন্য হাইপারটেনশন ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।
লক্ষ্য করুন-
এই সময় রেগুলার রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিৎ। যাদের গর্ভাবস্থায় রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের সপ্তাহে ৩ দিন রক্তচাপ পরীক্ষা করা দরকার।হাইপার টেনশন দেখা দিলে ডাক্তারের দেয়া ওষুধ নিয়ম মাফিক গ্রহণ করুন। হাইপার টেনশন নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের Lilacforyou.com-এ আরেকটি আর্টিকেল রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসেই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার জন্য আমাদেরকে ইনবক্স করতে পারেন। আশা করি, আর্টিকেলটি হেল্পফুল ছিল। পরিবারের যত্ন নেয়ার সাথে সাথে নিজেরও যত্ন নিন।